English Version

অভিভাবকের জন্য নির্দেশিকা

অভিভাবকদের জ্ঞাতব্যঃ

 

  • ছাত্র/ছাত্রীর পাঠোন্নতি, আচার-আচরণ, উপস্থিতি, ধর্মানুরাগ এবং ডায়েরীতে প্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক নম্বর ও মন্তব্যসমূহ (যদি থাকে), নিয়মিত দেখে ছেলে মেয়ের সামগ্রিক উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত তথ্যাবলী জানার জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার শ্রেণী শিক্ষক/শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করা যাবে।

  • এ স্কুলের নিয়মাবলী মেনে চলা এবং ধর্মানুরাগে ছেলে মেয়েদের তাগিদ দেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের আচরণে উচ্ছৃঙ্খলতার পরিচয় পাওয়া গেলে বৃহত্তর স্বার্থে স্কুল প্রশাসন যে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে।

  • বিনা কারণে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে প্রতিদিনের জন্য ১০ (দশ) টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে। যে কোন পরীক্ষার পূর্বে উপস্থিতি ৭৫% এর কম হলে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না এবং এ ধরণের ছাত্র/ছাত্রীদের ছাড়পত্র নিতে হবে। উল্লেখ্য যে ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি ৭৫% এর কম হলে উপবৃত্তির টাকা কাটা যাবে। স্কুল পালানোর কারণে ১৫ (পনের) টাকা জরিমানা দিতে হবে।

  • প্রতি মাসের বেতন গ্রহণের সময় পূর্বের মাসের অনুপস্থিতি জরিমানা আদায় করা হবে। ছুটির পাতায় ছুটির অনুমোদন না থাকলে কোন রকম মওকুফ বিবেচনা করা হবে না।

  • প্রতি মাসের ৭ ও ১৫ তারিখে বিনা জরিমানায় বেতনাদি নেয়া হবে। বেতন দেওয়ার তারিখে ছুটি থাকলে খোলার দিন বেতন দেওয়ার তারিখ বলে গণ্য হবে।

  • ১ম মাসের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে ২য় মাসের যে কোন বেতন দেওয়ার তারিখে বকেয়া বেতন দিলে ৫ (পাঁচ) টাকা এবং ৩য় মাসের যে কোন বেতন দেওয়ার তারিখে বকেয়া বেতন দিলে ১০ (দশ) টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে। ৪র্থ মাসে বেতন দিতে হলে ১ মাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা পুনঃভর্তি ফি প্রদান করতে হবে।

  • বেতন প্রদানের বিলম্বের জন্য বর্ণিত জরিমানা/পুনঃভর্তি ফি আদৌ মওকুফ করা হয় না।

  • স্কুল চলাকালীন সময়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকার সাথে কোন আলাপ-আলোচনা বা শ্রেণীকক্ষের সম্মুখ দিয়ে হাঁটা চলা করা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষক/সহকারি প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে।

  • ডায়েরিতে কোন অসুবিধা পরিলক্ষিত হলে অভিভাবকগণ নির্ধারিত দিনে শ্রেণী শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করে সমাধান করে নিতে পারবেন।

  • ডায়েরি হারালে প্রাপ্ত নম্বর সংক্রান্ত যে কোন ক্ষতির জন্য ছাত্র/ছাত্রী দায়ী থাকবে। উপযুক্ত কারণ দর্শীয়ে অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ আবেদনপত্র ও ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা জমা দিয়ে অন্য একটি ডায়েরী সংগ্রহ করা যাবে।

  • কোন পরীক্ষায়, কোন বিষয়ে অসদুপায় অবলম্বন করলে তার উক্ত টার্মের সমুদয় পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ২টি পরীক্ষার গড় নম্বর নেয়ার সময় বাতিলকৃত টার্মটিও গণনায় নেওয়া হবে। এছাড়াও স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।

  • মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্তির জন্য সকল টার্মের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

  • সন্তান ফেল করবে আর পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজন আসবেন তার প্রমোশনের সুপারিশ নিয়ে, এটা অত্যন্ত অন্যায় ও লজ্জাজনক কাজ। এতে শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিধায় অকৃতকার্য ছাত্র/ছাত্রীকে প্রমোশনের জন্য যে কোন সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করা হয়। একই শ্রেণীতে একাধিকবার ফেল করা ছাত্র/ছাত্রী বার্ষিক পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের পর আর এই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী নয় বলে বিবেচিত হবে।

  • প্রথমবার অকৃতকার্য ছাত্র/ছাত্রী একই ক্লাসে অধ্যয়নের জন্য পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হয়। নতুন ভর্তির মাধ্যমে আসন পূর্ণ করা হবে বিধায় পরবর্তীতে এরূপ সুবিধা প্রদান করা যায় না।

  • কেবল সাময়িক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার উত্তরপত্রসমূহ ছাত্র/ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের নিকট পাঠানো হয় এবং অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ ৫ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ে ফেরত পাঠান বাধ্যতামূলক। তবে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তরপত্রসমূহ ফলাফল প্রকাশের পূর্বেই বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট উপস্থাপন করা হয়।

  • নির্বাচনী পরীক্ষার উত্তরপত্র সম্পর্কে কোন পুনঃনিরীক্ষনের প্রয়োজন মনে করলে ফল প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে প্রতি বিষয়ের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা জমা দিয়ে রশিদসহ লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে।

  • একই প্রগ্রেস রিপোর্ট ৫ (পাঁচ) বছরের ফলাফল তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এজন্য প্রগ্রেস রিপোর্ট যত্নের সাথে রাখা বাঞ্ছনীয়। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রগ্রেস রিপোর্ট শ্রেণী শিক্ষকের কাছে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণ তহবিলে সাহায্য বা অন্য কোন প্রয়োজনে রিপোর্ট কার্ডের প্রয়োজন মনে করলে সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠাটির ফটোকপি রেখে জমা দিতে হবে। নতুনভাবে কোন মার্কশিট দেয়া যাবে না। ফটোকপি প্রধান শিক্ষক দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে।

  • প্রগ্রেস রিপোর্ট হারালে ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা জরিমানা প্রদানের রশিদসহ আবেদন করতে হবে।